অনলাইন ডেস্ক:
পুলিশের কনেস্টবল আমিরুল ইসলাম পারভেজকে পিটিয়ে হত্যা মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু ও আহমেদ আজম খান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব হাবিবুন নবী খান সোহেল, কেন্দ্রীয় যুবদলের সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান, সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য ইশরাক হোসেন, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য তাবিথ আউয়ালসহ ১৬৪ জন নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাত আরও কয়েক হাজার আসামি করা হয়েছে।
রবিবার (২৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় পল্টন থানার ওসি সালাহউদ্দীন মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, গতকাল শনিবার মহাসমাবেশের দিন পুলিশ সদস্য পারভেজকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে নির্মম ভাবে হত্যা করে বিএনপির নেতাকর্মীরা। হত্যার ঘটনায় ডিবির এসআই মাসুক মিয়া বাদী হয়ে রোববার মামলা করেছেন।
নিহত আমিরুল ইসলাম পারভেজ মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার চরকাটারি ইউনিয়নের চরকাটারি গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সেকেন্দার আলী মোল্লার বড় ছেলে। বর্তমান বাড়ি টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার দপ্তিয়র ইউনিয়নের ফয়েজপুর গ্রামে।
আমিরুল ২০০৯ সালে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় মানিকগঞ্জের ঠিকানায় পুলিশে চাকরি পান। চাকরির কর্মস্থল ঢাকায় হওয়ায় স্ত্রী রুমা আক্তার ও সাত বছরের মেয়ে তানহাকে নিয়ে শাহজাহানপুরে একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন।
নিহত কনস্টেবল পারভেজ ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম শাখায় কর্মরত ছিলেন। গতকাল শনিবার বিএনপির মহাসমাবেশ চলাকালীন দায়িত্ব পালন করছিলেন নিহত আমিরুল। এ সময় বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। আমিরুলকে একা পেয়ে তাঁকে বেধড়ক পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
বিডি পোস্ট/সং-২৯/বিডি