মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি:
মানিকগঞ্জের ঘিওরে অষ্টম শ্রেণী পড়ুয়া স্কুলছাত্রী মেয়েকে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় বাবাকে মেরে আহত করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী আশিক (১৯) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে।
বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ঘিওর উপজেলার নালী ইউনিয়নের মাশাইশল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত স্কুলছাত্রীর বাবা ওই গ্রামের মোঃ কুদ্দুস মিয়া (৩৬) কে আহত অবস্থায় প্রথমে ঘিওর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানান গেছে।
এ ঘটনায় বুধবার রাতেই ভুক্তভোগী ওই স্কুলছাত্রীর মা আকলিমা বেগম (২৮) অভিযুক্ত আশিকসহ ৬ জনকে আসামি করে ঘিওর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযুক্তরা হলেন,স্থানীয় নালী ইউনিয়নের মাশাইশল গ্রামের মোঃ জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে মোঃ আশিক (১৯), মোঃ জাকির (২২), মৃত জাবেদ আলীর ছেলে মোঃ জাহাঙ্গীর আলম (৪২),মৃত পংকু মিয়ার ছেলে মোঃ চঞ্চল মিয়া (২৮),মোঃ শান্ত মিয়া, চঞল মিয়ার স্ত্রী মর্জিনা বেগম (২৫)।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া ওই মেয়েকে প্রতিবেশী মোঃ জাহাঙ্গীর মিয়ার ছেলে আশিক মিয়া দীর্ঘদিন যাবত কু প্রস্তাব ও প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছে। তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বিভিন্ন ভয়—ভীতি দেখাত। বিষয়টি ওই মেয়ে তার পরিবারকে জানালে মেয়ের বাবা গত মঙ্গলবার আশিকের পরিবার সাথে কথা বলেন। এর জের ধরে বুধবার বিকেলে ভুক্তভোগী মেয়ের বাবাকে অভিযুক্তরা ফোন দিয়ে ডাকেন। এবং তাকে বেধড়ক মারপিট করে।
ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর বাবা কুদ্দুস মিয়া বলেন, প্রতিবেশী জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে আশিক (১৯) আমার মেয়েকে স্কুলে যাওয়া আসার সময় দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন কু—প্রস্তাব দিয়ে আসছে। আশিক সম্পর্কে আমার মেয়ের প্রতিবেশী চাচা হয়। বিষয়টি আশিককে বোঝানোর চেষ্টা করি এবং উত্যক্ত না করার অনুরোধ করি। এ নিয়ে আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে বুধবার বিকেলে ফোন দিয়ে ডেকে এনে ৫—৬ মিলে আমার উপর অতর্কিত হামলা করে।
ইভটিজিংয়ের শিকার স্কুলছাত্রী বলেন, স্কুলে যাওয়ার সময় আশিক প্রতিদিন আমাকে উত্যক্ত করতো। বিষয়টি আমার পরিবারকে জানালে আমার বাবা এর প্রতিবাদ করতে গেলে বাবাকে মারধর করে আহত করেছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই। নিরাপদে স্কুলে যেতে চাই।
প্রতিবেশী বাদশা মিয়া জানান, আশিকের নামের ছেলেটি ওই মেয়েটিকে স্কুলে যাওয়া আসার সময় বিভিন্ন কু—প্রস্তাব দেয়াকে কেন্দ্র করে গত মঙ্গলবার মেয়ের বাবার সাথে ওই ছেলের বাকবিতান্ডা সৃষ্টি হয়। এর এক পর্যায়ে বুধবার বিকেলে ফোন দিয়ে মেয়ের বাবাকে ডেকে নিয়ে মারধর করে। আমরা প্রতিবেশিরা ফিরাইতে গেলে আমাদের অপরও আশিক ও তার পরিবার হামলা চালায় । আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
তবে অভিযুক্ত আশিকের বড় ভাই মোঃ জাকির হোসেন পুড়ো বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, চক্রান্ত করে আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এরমক কোন ঘটনা ঘটেনি। এ বিষয়ে আমারও তাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।
ঘিওর থানার অফিসার ইনচার্জ সুকুমার বিশ্বাস বলেন, এ বিষয়ে পৃথক দুটি অভিযোগ পেয়েছি। রাতেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। অভিযোগ প্রমানিত হলে নির্যাতনকারীদেরে বিরুদ্ধে আইননাগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।