জাতীয়সর্বশেষসারাদেশ

রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন পুলিশ সদস্য পারভেজ

শরিফুল ইসলাম,মানিকগঞ্জ:

মানিকগঞ্জে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন রাজধানীতে সংঘর্ষে নিহত পুলিশ কনস্টেবল আমিরুল ইসলাম পারভেজ।

রোববার (২৯ অক্টোবর) মাগরিবের নামাজ শেষে জেলার দৌলতপুর উপজেলার সরকারি প্রমোদা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জানাজা শেষে উপজেলা সদর কবরস্থানে তার মরদেহ দাফন করা হয়।

নিহত আমিরুল ইসলাম পারভেজ মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার চরকাটারি ইউনিয়নের চরকাটারি গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সেকেন্দার আলী মোল্লার বড় ছেলে। বর্তমান বাড়ি টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার দপ্তিয়র ইউনিয়নের ফয়েজপুর গ্রামে।

নিহত কনস্টেবল আমিরুল পারভেজ ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম শাখায় কর্মরত ছিলেন। গতকাল শনিবার বিএনপির মহাসমাবেশ চলাকালীন দায়িত্ব পালন করছিলেন নিহত আমিরুল। এ সময় বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। আমিরুলকে একা পেয়ে তাঁকে বেধড়ক পিটিয়ে হত্যা করা হয়।

জানা গেছে, প্রায় দুই বছর আগে নিহত পুলিশ কনস্টেবল আমিরুল ইসলাম পারভেজের মানিকগঞ্জের দৌলতপুরের বাড়িটি যমুনা নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। পরে পরিবারসহ টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার দপ্তিয়র ইউনিয়নের ফয়েজপুর গ্রামের এক ব্যক্তির জায়গা ভাড়া নিয়ে সেখানে বাড়ি করেন। আমিরুল ২০০৯ সালে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় মানিকগঞ্জের ঠিকানায় পুলিশে চাকরি পান। চাকরির কর্মস্থল ঢাকায় হওয়ায় স্ত্রী রুমা আক্তার ও সাত বছরের মেয়ে তানহাকে নিয়ে শাহজাহানপুরে একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন।

এদিকে আজ বিকেলে আমিরুলের জানাজায় অংশ নিতে দৌলতপুর সরকারি প্রমোদা বিদ্যালয়ের মাঠে আসেন মানিকগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য নাইমুর রহমান দুর্জয়। এ সময় তিনি নিহতের পরিবারকে নগদ এক লাখ টাকা সহায়তা প্রদান করেন এবং নিহতের পরিবারকে থাকার ঘর করে দেওয়ার আশ্বাসদেন।

এর আগে আমিরুলের মরদেহ বহনকারী গাড়ি দেখেই কান্নায় ভেঙে পড়েন তার মা-বাবাসহ আত্মীয়স্বজনরা। এ সময় দৌলতপুরবাসী তাকে শেষবারের মতো এক নজর দেখতে ভিড় করেন। এ সময় কান্নায় চারপাশ ভারি হয়ে পড়ে। বড় ভাইকে হারিয়ে হাউমাউ করে কান্না করেন ছোট ভাই বিপ্লব ও তার বোন সেফালি, স্ত্রী রুমা ও মেয়ে তানহা।

আমিরুল ইসলাম পারভেজের জানাজায় জেলা প্রশাসক রেহেনা আকতার, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গেলাম আজাদ খান পিপিএম বার, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা গোলাম মহিউদ্দি, সাধারণ সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম রাজা, নিহতের স্বজনেরাসহ জেলা পুলিশের কর্মকর্তাবৃন্দ ও স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

বিডি পোষ্ট/সং-২৯/বিডি

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button